জে. জাহেদ, নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বহদ্দারহাট চাঁন মিয়া সড়ক থেকে অপহৃত ব্যবসায়ি মো. ছৈয়দুল আলম তালুকদার (৬৫) কে অপহরণের ৬ দিন পর
কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে উদ্ধার করেছেন সিএমপি পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ।
গতরাত (৩১ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ চকরিয়া উপজেলার কাকারা পাইথন পাহাড়ে ৬ ঘন্টার অভিযান চালিয়ে তাঁকে নিরাপদে উদ্ধার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। অপহৃত ব্যবসায়ি মো. ছৈয়দুল আলম তালুকদারের স্থায়ী ঠিকানা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা মহতী পাড়া। বর্তমানে নগরীর পাঁচলাইশ শরীফ বিল্ডিং-এ বসবাস করতেন।
মামলার এজাহার ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে ব্যবসায়ি ছৈয়দুল আলম কে তাঁর মুঠোফোনে সেলিম নামে এক ব্যক্তি ফোন করে ব্রিক ফিল্ডের ব্যবসার টাকা দেওয়ার কথা বলে পাঁচলাইশ এলাকার নিজ বাসা থেকে নীচে ডেকে নিয়ে যান। তার কিছুক্ষণ পরেও তিনি বাসায় ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পান।
পরে বহু খুঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাননি। পরদিন দুপুর ১টার দিকে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ব্যবসায়ির স্ত্রীকে ফোন করে ২০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করেন। এমন কি অপহরণকারীরা অপহৃত ব্যবসায়ির মোবাইল নম্বরটিতে নগদ একাউন্ট খুলে তাতে মুক্তিপণের টাকা দিতে বলেন। পরে কৌশলে ১০ হাজার টাকাও পাঠান।
পুলিশ বাসার সামনে থাকা একটি সিসিটিভি’র ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখতে পান, ঘটনার দিন ১টা ৪৫ মিনিটের সময় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বহদ্দারহাট এলাকার সিটি কর্পোরেশনের কাঁচা বাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে একটি মোটর সাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি অপহৃতকে মাঝখানে বসিয়ে তুলে নিয়ে যান।
এ ঘটনাটি জেনে ভিকটিমের ছেলে মহিম উদ্দিন তালুকদার (৩০) গত ২৭ অক্টোবর রাতে চান্দগাঁও বরিশাল কলোনির মো. সেলিম (৪০) কে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেলিমের নিজ বাড়িও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা গ্রামের মহতী পাড়ায়।
এ ঘটনার ৬ দিন পর পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান এর নির্দেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ছৈয়দ আবদুল্লাহ ও চৌকস টিম বিশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজারের চকরিয়া কাকারা পাইথন পাহাড়ে (গত রাতে) দীর্ঘ ৬ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে অপহৃত ব্যবসায়িকে নিরাপদে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘ঘটনাটি শোনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়ে তারপর আমরা মামলা নিয়েছি। পরে চকরিয়ার পাহাড়ে ৬ ঘন্টার অভিযান শেষে অপহৃতকে নিরাপদে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যান। বর্তমানে ব্যবসায়ি ব্যক্তি চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।